ময়ুরী-২ লঞ্চের সুপারভাইজার রিমান্ডে
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহতের ঘটনায় ময়ুরী-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদররঘাট নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা তিনদিনের রিমান্ড মঞ্হুর করেন।
এর আগে গত ৩০ জুন রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহতের ঘটনায় এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদরঘাটের নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর শ্যামবাজার বরাবর ফরাশগঞ্জ ঘাটসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাশে ২৯ জুন সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে মর্নিং বার্ড লঞ্চকে এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি দ্রুত বেপরোয়াভাবে ধাক্কা মারে। ধাক্কার ফলে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ঘটনাস্থলে দুমড়েমুচড়ে ভেঙে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীসহ পানিতে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ডে ৬০ থেকে ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। আসামিরা লঞ্চটি ডুবিয়ে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটায়।’
মামলায় সাত আসামি হলেন এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩৩), লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার কর্মচারী মো. আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. জাকির হোসেন (৫৪), ইঞ্জিনচালক শিপন হালদার (৪৫), চালক শাকিল হোসেন (২৮), কর্মচারি সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও মো. হৃদয় (২৪)।