ময়লার স্তূপে ফেলা মরা মুরগি যেত বিভিন্ন হোটেলে!
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুড, হোটেল ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে মরা মুরগি মাংস দিয়েই তৈরি হচ্ছিল অনেকের প্রিয় উন্নতমানের খাবার। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদরের গলাচিপা এলাকায় সুগন্ধা বেকারির পেছনে ময়লার স্তূপে মৃত মুরগির চামড়া ছাড়ানোর সময় এ ধরনের মাংস কেনা-বেচা চক্রের সঙ্গে জড়িত অনু দাস নামের এক সদস্যকে আটক করে স্থানীয় লোকজন।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুর রহমান ও সিদ্ধিরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমানা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে অনু দাস জানান, তিনি পেশায় একজন ডোম। কালীরবাজার, দিগাবাবুর বাজার ও বউবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া মরা মুরগি একত্রিত করে গলাচিপার ওই ময়লার স্তূপে নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে মুরগিগুলোর চামড়া ছাড়িয়ে নগরীর বিভিন্ন হোটেল ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে বিক্রি করেন।
অনু দাস আরো জানান, তাঁর সঙ্গে জব্বার ও সুমনসহ আরো সাত-আটজনের একটি চক্র কাজ করে। তারা প্রায় প্রতিদিনই এখানে মরা মুরগি নিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টে স্বল্প দামে বিক্রি করেন।
পরে অনু দাসের দেওয়া তথ্যমতে, নগরীর সমবায় মার্কেটের পেছনে মক্কা মদিনা স্টোর ও মক্কা মদিনা খাবার হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মক্কা মদিনা স্টোরের মালিক আবদুল মজিদ আগে অনু দাসসহ আরো কয়েকজনের কাছ থেকে মরা মুরগি কিনেছিলেন বলে স্বীকার করলে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাস জেল দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, মক্কা মদিনা হোটেলের মালিক আবদুল আজিজকে ভোক্তা অধিকার আইনে অস্বাস্থ্যকর ও ময়লা স্থানে খাবার রাখা এবং পরিবেশনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে, অনু দাসকে মরা মুরগি বিক্রির দায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।