ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা হত্যায় আসামির স্বীকারোক্তি
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আসামি মো. খায়রুল (৩৫)। আজ শনিবার বিকেলে জেলা আদালতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ধারাবাহিক অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ফাগুয়া হাওর এলাকা থেকে খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা আক্তারের আমলি আদালত-৪-এ আসামিকে উপস্থাপন করা হয়। আসামি আদালতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
খায়রুলকে নিয়ে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এর আগে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার হন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ময়লাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, তাঁর সহযোগী রাসেল, মজিবর ও জাহাঙ্গীর। ১৯ আক্টোবর রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর মধ্য বাজারস্থ রহিমের চায়ের দোকানে চা পান করার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আবিদুর রহমান ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা ডেকে মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের পরের দিন বিক্ষুব্ধ শত শত লোক সন্দেহভাজন আসামিসহ গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের অফিস, বাসভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যদের বাসাবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ও ঈশ্বরগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।