ময়মনসিংহে ‘রতন স্যারের’ জানাজা
ময়মনসিংহের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, মুকুল ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের রেক্টর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব আমীর আহাম্মদ চৌধুরী রতনের জানাজা আজ বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন। জানাজার আগে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত চেয়ে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মরহুমের ছেলে অরূপ চৌধুরী প্রমুখ।
জানাজা শেষে আমীর আহাম্মদ চৌধুরী রতনের মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি ফেনীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমীর আহাম্মদ চৌধুরী রতন মৃত্যুবরন করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আমীর আহাম্মদ চৌধুরী রতন ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করলেও বিজয়ী হতে পারেননি।
আমীর আহম্মদ চৌধুরী রতনের জন্ম ১৯৪৩ সালের ৮ নভেম্বর। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহ শহরে জেলা মুকুল ফৌজ প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৬৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর শিক্ষকতার জীবন। সেখানে ছিলেন ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে যোগ দেন মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে। তিনি সবার কাছে রতন স্যার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শিক্ষতকতার বাইরেও রতন স্যারের রাজনৈতিক, খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিল সক্রিয় পদচারণ।