মৌলভীবাজারে ২৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে, তিন স্থলবন্দরে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ১৬ জন ও সদর উপজেলায় ইতালি ফেরত একজনসহ মোট ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদিকে জেলার তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. সাজ্জাদুর রহমান প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রবাসী ১৬ জনের মধ্যে একজনের যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে প্রবাসীদের মধ্যে ভাইরাসজনিত কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটার জন্য তাদের নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল শ্রীমঙ্গলে এসে স্যাম্পল নিয়ে যাবেন।’
সাজ্জাদুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলে তাদের এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একই পরিবারের আটজন ৮ মার্চ ও গত শনিবার আরো আটজন মিলে দুই দফায় ১৬ জন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসেন। গত শনিবার যারা এসেছেন, তারা ১৩ দিনের কোয়ারেন্টিনে যাবে আর যারা ৮ মার্চ এসেছেন তাদের অবভজারভেশনে রাখতে বলছি। খবর পেয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা রোববার থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পর্যবেক্ষণে রাখছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সকাল-বিকেল নিয়মিতভাবে তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘যেহেতু শ্রীমঙ্গল তথা এই অঞ্চলটি প্রবাসী অধ্যুষিত তাই আমি বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের বলব তারা যেনো সচেতন হয়ে নিজ উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। কন্ট্রোলরুমে (০১৭৩০-৩২৪৭৩৯) সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেন।’
এদিকে, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, মৌলভীবাজার জেলায় তিনটি স্থলবন্দর রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চাতলাপুর, কুরমা ও বটুলি স্থলবন্দর। গত ১২ মার্চ থেকে ভারতের কৈলাশহর অভিবাসন কেন্দ্র কোনো বাংলাদেশি ভিসাধারী যাত্রীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ওই সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ বিকেল থেকে উভয়দিক থেকে ভিসাধারী যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে। তবে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে দুই দেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।