মৌলভীবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার’ নিহত
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে বুলু মিয়া নামের এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের বোরতলা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বুলু মিয়া সিলেটের ওসমানীনগরের বাসিন্দা। এ ছাড়া আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার আঙ্গুরা গ্রামের লাল মিয়া ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আতানগিরি গ্রামের আফজাল মিয়া।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, গতকাল দিবাগত রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাতদল নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের আবদুল খালিকের বাড়িতে ডাকাতি করে। ডাকাতরা বাড়ির মালামাল লুট করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কাগাবালা ইউনিয়নের বোরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশের একটি পেট্রল টিম ওই অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় অটোরিকশার ভেতরে থাকা ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ পাল্টা গুলি করলে ডাকাত সর্দার বুলু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় আরো দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া অন্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জিয়াউর রহমান। ওই পুলিশ সদস্যরা হলেন, মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) কোরবান আলী, কনস্টেবল নিলয়, সুরঞ্জিত দাস ও নিরুপম পাল।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ডাকাতি হওয়া মালামাল ও স্বর্ণ, অর্থসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।