মোহাম্মদপুরে পুলিশ হেফাজতে ‘যৌনকর্মী’র মৃত্যু
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক নারী মারা গেছেন। পুলিশ দাবি করেছে, ওই নারীকে যৌনকাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জোসনা থানার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে রাজধানীর হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে গতকাল বিকেলেই আটক করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রওশানুল হক সৈকত এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের নূর জাহান রোডের বিআরটিসি কাউন্টারের পেছনের দিকে সেলিনার বাসায় যৌনকর্মী জোসনা এক খদ্দেরকে নিয়ে যায়। তার নাম সোহাগ। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়।’
জোসনা ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- সেলিনা, সোহাগ ও শাহিনুর।
সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এরা সবাই যৌনকাজের সঙ্গে যুক্ত। সেলিনার বাসায় তারা নিয়মিত খদ্দের নিয়ে যেত। থানা হাজতে জোসনা রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ অসুস্থ পড়ে পড়ে। সে সময় অন্যরা থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানায়।’
মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গেই জোসনাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জোসনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চিকিৎসক কী জানিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রওশানুল হক সৈকত বলেন, ‘চিকিৎসক সে সময় তার মৃত্যুর কারণ বলেননি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’