মোহামেডানের লোকমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আরেকটি মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে বিদেশে পাচার করার অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হানুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ২৩/২০১৯। রায়হানুল ইসলাম এবং মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি লোকমান হোসেন ভূইয়া চার কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা বিদেশে পাচার করেছেন। এতে করে তাঁর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হলো। এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার বাদী হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মণিপুরিপাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত লোকমান। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে লোকমান ক্যাসিনো ব্যবসা, তাঁর নিয়ন্ত্রণ এবং সাঈদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বলে জানায় দুদক সূত্র। ক্যাসিনো থেকে দিনে ৭০ হাজার টাকা হিসেবে মাসে ২১ লাখ টাকা পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন লোকমান।
গত ১২ নভেম্বর ক্যাসিনো থেকে পাওয়া ৪১ কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। এই টাকা রাখা হয়েছে দেশটির এএনজেড ও কমনওয়েলথ ব্যাংকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই দিয়েছেন লোকমান।