মোংলায় ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডবে ঘরবাড়ি-ঘের ক্ষতিগ্রস্ত, বন্দর সচল
বাগেরহাটের মোংলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও চিংড়ি ঘের। সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালু হলেও জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় মোংলা বন্দরে শুরু হয়েছে পণ্য ওঠানামার কাজ। বন্দরে অবস্থানরত ১৪টি বিদেশি জাহাজে সকাল থেকে কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া আজ আরো ছয়টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে ভিড়েছে এবং দুটি বন্দর ত্যাগ করেছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন।
জানা যায়, ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে জেলায় মোট ১৩৭০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে এক হাজার ৬৮০টি ঘেরের বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ।
এ ছাড়া ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক লাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুদিন ধরে মোংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে মোংলার শিল্প এলাকার কলকারখানাগুলোর উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও অফিস-আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুৎবিহীন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে মোংলার বাসিন্দারা। আজ বিকেল পর্যন্ত শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান।