মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৭৫০০ মানুষ
সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে থাকায় রাতে মোংলার বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা এ সব মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, আখের গুড় ও খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়া হয়েছে মোমবাতি ও দেয়াশলাইও।
আম্পানের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া ক্রমই খারাপের দিকে যেতে থাকে। বিকেল থেকে থেমে থেমে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা সন্ধ্যার পর থেকে আরো বাড়তে শুরু করে। যার ফলে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মোংলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত চিলা, সুন্দরবন ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের নদীর পাড়ের দুর্বল কাঁচা ঘরবাড়িতে বসবাসকারীদের সন্ধ্যার পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বেশি উঠেছে চিলা ইউনিয়নের লোকজন। এরপর সুন্দরবন, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গার লোকজন ওঠে আশ্রয়কেন্দ্রে।
রাতেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান নাহিদ ও ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা সাধারণ লোকজনের কাছে ছুটে যান। এবং সবার মধ্যে খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে নিরাপদে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন।
ইউএনও মো. রাহাত মান্নান বলেন, ‘ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে এরই মধ্যে ২৪ টন চাল, শুকনো খাবারের জন্য ৩৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাবার সংগ্রহের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।’