মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাবাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সামছুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় বাদীপক্ষকে সহযোগিতা করেন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)।
ওসিসির আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিংকি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ন্যায়বিচার পেয়েছি। সমাজে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা যেন না ঘটে তা এই রায় দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। টাকা ও জমির লোভে মেয়েকে ব্যবহার করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল শিশুর মা পাশের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়তে গেলে বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার ১৮ দিন পর ৫ মে শিশুটির মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওইদিনই পুলিশ আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠায়। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর ওই বছরের ১৪ নভেম্বর আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট নয়জন সাক্ষীর সবাই সাক্ষ্য দেন।