মেঘনায় লঞ্চে শিশুর জন্ম, যাত্রীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ
মেঘনায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ। যাত্রীরা তখন গন্তব্যে ফেরার অপেক্ষায়। আর সে অপেক্ষায় ছিলেন ফাহিমা বেগম ও তাঁর স্বামী ফোরকান হাওলাদারও। তাঁদের যেন একটু তাড়াহুড়োই ছিল। কারণ, ফাহিমা বেগমের গর্ভে সন্তান।
সময়টা গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা। এর মধ্যেই প্রসব বেদনা ওঠে ফাহিমা বেগমের। উপায় না পেয়ে আশপাশে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি জানান ফোরকান। একজন-দুজন করে লঞ্চের কর্মীদের কাছে চলে যায় সংবাদ। ছুটে আসেন তাঁরা। পরে লঞ্চের দায়িত্বরত কর্মীরা দুজন নারীর সহায়তায় নিরাপদে সন্তান প্রসব করান। জন্ম হয় এক কন্যাসন্তান।
এ সময় গরম পানি, স্যাভলন আনাসহ যাবতীয় সহায়তা করেন লঞ্চের কর্মীরা। শিশুটি নিরাপদে পৃথিবীতে আসার পর মাইকে এর ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় উৎসবের আমেজ তৈরি হয় লঞ্চজুড়ে।
আর এ খবর জানতে পেরে লঞ্চের যাত্রী একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর কাছে থাকা মিষ্টি যাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করেন।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল এলাকার বাসিন্দা ফোরকান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে খবরটি জানতে পেরে লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন মৃধার স্ত্রী ওই শিশুটির নাম দেন নুসাইবা।
লঞ্চের সুপারভাইজার নুর খান মাসুদ জানান, চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ওই দম্পতি ও নবজাতিকার জন্য আজীবন এ কোম্পানির লঞ্চে যাতায়াত বিনামূল্যে করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নুর খান মাসুদ আরো জানান, শিশুটি ও তাঁর মা ভালো ও সুস্থ থাকলেও লঞ্চটিকে নিরাপদে আগেভাগে বরিশালে নেওয়ার জন্য মাস্টারদের বলা হয়। সেখানে কোম্পানির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো ও চিকিৎসার যাবতীয় সহায়তা কোম্পানির পক্ষ থেকেই করা হবে।