মুন্সীগঞ্জে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ছেলে আটক
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় তাসলিমা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর ছেলে মানিক তালুকদারের (২৫) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই যুবকের খালা শামসুন নাহার (৫০) এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরই মধ্যে পুলিশ ওই যুবককে আটক করেছে।
মানিক তালুকদার উপজেলার নেত্রাবর্তী গ্রামের দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে দুই বোন তাসলিমা বেগম ও শামসুন নাহার তাঁদের নানাবাড়ি পুড়াপাড়া গ্রামে বেড়াতে যান। তাঁদের সঙ্গে তাসলিমার ছেলে মানিকও ছিলেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নির্জন ঘরের মধ্যেই তাসলিমাকে বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন মানিক। এ সময় তাঁর খালা শামসুন নাহার বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এ সময় তাঁদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দুই বোনকে উদ্ধার করে টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাসলিমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত শামসুন নাহারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়রা বলছেন, দিনমজুর দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে মানিক কয়েক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এলাকার এক গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয় এবং ওই গৃহবধূও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন মানিক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আচরণ করেন তিনি। কয়েক দিন আগে তিনি নিজেই গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করি এবং ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’