আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এ ছাড়া ‘মুজিববর্ষ’জুড়েই নানা কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন জোটটি। তবে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল মুজিববর্ষ পালন না করায় আক্ষেপ জোট নেতাদের।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পেশাজীবীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। ‘মুজিববর্ষে’ উদযাপন উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপনের রাষ্ট্রীয় সামাজিক সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি। তখন কিন্তু বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট মহল ও চক্র এই কর্মসূচিকে সমর্থন দেয়নি। আমি নাম ধরেই বলতে পারি, বিএনপি ও তার দোসর জামায়াত, জঙ্গি রাজাকাররা শতবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কারা কী মানল  না মানল এটা এখন দেখার ব্যাপার নয়। একটি পরিবারে পাঁচটি সন্তান থাকলে তার ভেতর একটি কুলাঙ্গার থাকে। সেই কুলাঙ্গার সন্তান ধিকৃতই থাকে। তার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। পরিবারের কাছেও না, সমাজের কাছেও না। মহাত্মা গান্ধী ভারতের জাতির পিতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে প্রাণ দিয়েছেন। সেই মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী বিজেপির মত কঠিন সাম্প্রদায়িক শক্তি পালন করছে, এটা থেকেও আমাদের দেশে তথাকথিত ওই শক্তির কোনো চেতনা আসে না।’  

১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘কয়দিন পরই একটি সিটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা ভোট চাইতে আসিনি। শুধু বলতে চাই, সম্মানিত বন্ধুদের বলতে চাই, এখানেও আপনাদের সহযোগিতা চাই, যেন মুজিববর্ষের প্রাক্কালে স্বাধীনতার পক্ষের বিজয় যেন সুনিশ্চিত হয়।’

সভায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের ১৪ দলীয় জোটের নেতারা ডাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।