মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। রাজাকার, আল-বদররা দেশে গণহত্যা-অগ্নিসংযোগ করেছে, তাও সঠিকভাবে জানতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাদের অবদানে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতা এনেছেন, পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে শুরু হয় পাকহানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর গণহত্যা। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে পাকবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় অবরুদ্ধ স্বদেশ থেকে দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার মরণপণ লড়াই- মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ আমরা কোনোভাবেই নিজেদের স্বাধীন জাতি ভাবতে পারতাম না, পরাধীনতার শিকল হয়তো আমাদের আজও তাড়া করে বেড়াত।
সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুজ্জামান। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী সরকার।