মিটফোর্ড থেকে বিপুল নকল ওষুধ জব্দ, গ্রেপ্তার তিন
ভেজাল ও নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। এ অভিযানে বিভিন্ন ফার্মেসি ও গুদাম থেকে বিপুল নকল ওষুধ জব্দসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, আটককৃতরা হলেন মেডিসিন ওয়ার্ল্ড ফার্মেসির ফয়সাল আহমেদ (৩২), লোকনাথ ড্রাগের সুমন চন্দ্র মল্লিক (২৭) ও রাফসান ফার্মেসির মো. লিটন গাজী (৩২)।
মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে নিষিদ্ধ ও জীবন রক্ষাকারী দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ ও ক্রিম বিক্রি করছে মর্মে তথ্য পায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওষুধ অধিদপ্তরের সহায়তায় মিটফোর্ডের সুরেশ্বরী মেডিসিন প্লাজার নিচতলার মেডিসিন ওয়ার্ল্ড ও অলোকনাথ ড্রাগ হাউস এবং হাজী রানি মেডিসিন মার্কেটের নিচতলায় রাফসান ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়।’
পুলিশের এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘মিটফোর্ড মার্কেটটি ওষুধের পাইকারি বাজার। ফলে নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকারী চক্র সমগ্র দেশব্যাপী নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিতে মিটফোর্ড ওষুধ মার্কেটকে ক্যামোফ্লাজ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা মিটফোর্ড মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে সমগ্র দেশব্যাপী নকল ও ভেজাল ওষুধ ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব ওষুধ তারা তাদের সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে।’
মাহবুব আলম বলেন, ‘এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন হতে হবে। ওষুধ কেনার আগে সেটি রেজিস্ট্রার্ড কিনা, তা দেখতে হবে। নকল ওষুধ উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাতকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।’