মার্চের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, ‘কেউ যখন ভ্যাকসিনের কথা ভাবে নাই তখন থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনেছি। আর এখন আমাদের হাতে অনেক ভ্যাকসিন রয়েছে। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশা করছি, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এ ছাড়া দেশের মোট জনসংখ্যার জন্য নির্ধারিত ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে যতো রকম কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন তা দেওয়া হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ার শুভ্র সেন্টারে জেলা সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শত বছরের মহামারি আমাদের দেখতে হয়েছে। শত বছরের মধ্যে এই ধরনের মহামারি আসেনি। এই মহামারিতে পৃথিবীতে ৫০ লাখ মানুষ মারা গেছে। এটি একটি নতুন ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসের গতিবিধি সম্পর্কে আমাদের তেমন কিছু জানা ছিল না। এর চিকিৎসা কী বা কীভাবে হবে আর সংক্রমণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে তাও কেউ জানতো না। সেই অবস্থা থেকে শুরু করে আমরা এখন অনেকটাই ভালো আছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় আপনারা প্রার্থনা করবেন যাতে বাংলাদেশ থেকে করোনামুক্ত হয়ে যায়। করোনায় যাতে কারো মৃত্যু না ঘটে এবং দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এই প্রার্থনাই করবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমরা একদিনে ৮০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে একদিনে এত সংখ্যক ভ্যাকসিন দিয়েছে কি না আমার জানা নেই।’
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।