মানিকগঞ্জে সবজির ব্যাপক ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
ফসলের ব্যাপক ফলন ও ভালো দাম মানেই কৃষকের মুখে হাসি। মানিকগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের মুখে এবার শীতের আগাম ভালো ফলন এবং বেশি দামে বিক্রির হাসি যেন সূর্যের আলোর মতো জেগে উঠেছে। কিন্তু সেসব সবজি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের।
জেলার গ্রামগুলোতে যত দূর চোখ যায় শুধু সবজির ক্ষেত আর ক্ষেত। ভোর থেকেই কৃষকরা মাঠে কাজ শুরু করে। এ যেন প্রকৃতির মায়ায় জড়ানো কৃষকের এক প্রগাঢ় ভালোবাসা। গত বন্যার ক্ষতিকে জয় করেই এ জেলার কৃষকরা এবার আগাম শীতের সবজির বিপ্লব ঘটিয়েছে। প্রথমদিকে নিরাশ হলেও এরই মধ্যে অনেকেই সবজি চাষের চালান তুলতে সক্ষম হয়েছে। কেউবা বলছে এবার প্রত্যাশার বেশি আয় হতে পারে।
এদিকে, জেলার অনেক এলাকায় এবার সবজির ব্যাপক চাষ হয়েছে। জেলার গড়পাড়া, দিঘি ও তিল্লী ইউনিয়ন ঘুরে অধিকাংশ কৃষকই কয়েক বিঘা করে সবজির চাষ করেছে বলে জানা গেছে। লাউ, শশা, শিম, বরবটি, চিচিঙ্গা, শ্রীনাচ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, ঢেড়শ, করলা, লালশাক, পালং শাক, মূলা, ধনেপাতাসহ আরো অনেক রকম সবজিতে এ এলাকার গ্রামাঞ্চল ঢেকে গেছে। সবজির বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকরাও অনেকটা স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে। তারা বলছে, গতবারের তুলনায় এবার ফলনও ভালো এবং দামও মিলছে আশানুরূপ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার এ অঞ্চলে শীতকালীন ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর বেশি।
অধিদপ্তর আরো জানায়, জেলায় করোনা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফলন হওয়া সত্ত্বেও আগাম সবজির দাম বাড়ার জন্য এক শ্রেণির মুনাফাভোগী মধ্যসত্ত্বভোগীদেরই দায়ী করেছে সবাই। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সবজির দাম কিছুটা কমবে আশা করা হচ্ছে।