মানিকগঞ্জে শেষের দিকে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিবারের মতো এবারও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে উৎসবের আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের প্রতিমার রং করার কাজ প্রায় শেষ। জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব না হলেও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যথাযথভাবে পালনের সব আয়োজন হাতে নিয়েছে জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
এদিকে, শতাব্দী সাহা নামের এক কিশোরী বলে, ‘গত বছরের মতো হয়তো এবার ততটা দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করা যাবে না। তবুও ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানাই সারা বিশ্বের মানুষকে যেন মহামারি করোনার হাত থেকে রক্ষা করেন।’
অপরদিকে, পূজা উদযাপনকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবার সেই আমেজ বা আয়োজনটা চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাসুদেব সাহা বলেন, ‘আমরা প্রতিবার খুবই জাঁকজমক ও শান্তিপূর্ণভাবে মা দুর্গার পূজা করে থাকি। তবে এবার করোনার কারণে এ অঞ্চলে উৎসব পালনের আয়োজনটা অনেকটাই কম। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পূজার আয়োজন সংক্ষিপ্ত করেছি। গত বছর এ জেলায় মোট ৫০৬টি মন্দিরে দুর্গাপূজা করা হয়েছিল আর এ বছর ৪৬৮টি মন্দিরে করা হচ্ছে।’
বাসুদেব সাহা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যে ২৬টি নির্দেশনা দিয়েছে তার সবই মেনে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে কারিগর কার্তিক পাল গত বছর প্রতিমা বানিয়েছিলেন সাত থেকে আটটি। কিন্তু এবার পাঁচটি প্রতিমার কাজ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিমা বানানোই আমাদের পরিবারের লোকদের একমাত্র কাজ। প্রতিমা বানিয়ে যা পাই তা দিয়েই সারা বছর চলে। এ বছর তেমন একটা বেশি কাজ করতে পারিনি। তবু ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আমাদের সবাইকে যেন মহামারি করোনা থেকে রক্ষা করেন।’
এদিকে, জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে মুঠোফোনে জানানো হয়, আসন্ন দুর্গাপূজায় তারা যথেষ্ট সচেষ্ট রয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’