মাদারীপুরে ৪৮৯ কারাবন্দীর ৭৩ জনকে মুক্তির প্রস্তাব
করোনাভাইরাসে দেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জেলা মাদারীপুর। করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে জেলা কারাগারের ৪৮৯ জন বন্দির মধ্য থেকে ৭৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুর জেল সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মাদরীপুর জেলা কারাগার থেকে ৭৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলা কারাগারে ৪৮৯ জন বন্দি রয়েছে। কারামুক্তির জন্য পাঠানো প্রস্তাবের মধ্যে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে ৪৮ জন, বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার হাজতি আসামি ২০ জন এবং সাজাপ্রাপ্ত বন্দি পাঁচ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নেওয়া তিন হাজার হাজতি ও দেড় হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে মাদরীপুর জেলা কারাগার থেকে এ তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেল সুপার।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও করোনা বিস্তার রোধে পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুইজন চিকিৎসক মাদারীপুরে পাঠিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শিবচর উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আইইডিসিআরের একটি দল মাদারীপুর জেলায় আসে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক জানান, একজন করোনায় আক্রান্ত নারী শিবচর উপজেলায় তাঁর বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর দুগ্ধপোষ্য সন্তান থাকায় তাঁকে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে বুধবার দুপুরে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখার দায়ে আট দোকানিকে এক হাজার করে আট হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। টেকেরহাট বন্দরের কাঁচাবাজার এলাকায় দুপুর ২টার পর মুদি দোকান ও কাঁচামালের দোকান খোলা রাখায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহানা নাসরিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা প্রদান করেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও সোহানা নাসরিন।