মাদারীপুরে ‘বুলবুল’-এ ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, ব্যাহত শিক্ষাব্যবস্থা
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আঘাতে মাদারীপুরে চৌহদ্দি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের টিনের স্কুলঘর ভেঙে পড়ায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। সামনে পরীক্ষা থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
গতকাল রোববার বিকেলে মাদারীপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আঘাতে স্কুলটির টিনের তৈরি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি পাণ্ডে।
মৃণাল কান্তি পাণ্ডে বলেন, ‘স্কুলটি কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এখনো পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে সব সময়ই আর্থিক টানাপড়েন লেগে আছে । এরমধ্যে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এ আমার স্কুলের মূল শ্রেণিকক্ষের ঘরটিই পুরোটা ভেঙে গেছে। এখন আমার তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে কীভাবে পড়াশোনা করাব, সেই চিন্তায় পড়েছি।’
শিক্ষার্থী প্রমি সরকারের দাদু জগদীশ বৈদ্য বলেন, ‘স্কুলটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা অভিভাবকরাও চিন্তায় পড়ে গেছি। এতগুলো মেয়ের পড়াশোনা কীভাবে করা হবে। তাই দ্রুত যাতে পড়াশোনা শুরু করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এদিকে স্কুলের কাছাকাছি যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি তারা স্কুলঘর ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে দেখতে ছুটে আসে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনামিকা, নবম শ্রেণির শতাব্দী সরকার, অষ্টম শ্রেণির তমা ভক্ত ও সপ্তম শ্রেণির সম্পা বাড়ৈ জানায়, তাদের ওই একটি শ্রেণিকক্ষ ছাড়া আর কোনো শ্রেণিকক্ষ নেই। সামনে তাদের স্কুলের পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। এমন অবস্থায় ক্লাস করতে না পারলে রেজাল্ট খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিত বৈদ্য নাদিম বলেন, ‘মেয়েদের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের আশরপাশের মানুষজনসহ সরকারকেও আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তালিকা তৈরি করে সমাধান করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’