মাদক গ্রহণে বাধা দেওয়ায় হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীতে আলমগীর হোসেন নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে হত্যা করার অভিযোগে চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মাদক গ্রহণে বাধা দেওয়ায় আলমগীরকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান ওই রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক রায়ে প্রত্যেক আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম (২৫), সুমন ওরফে চোর সুমন (২৩), এম এম সাইফুল্লাহ (৫০) ও আবু শামা। এর মধ্যে কামরুল ও ইব্রাহিম পলাতক। বাকি দুজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে থাকা দুজনকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১৩ সালের মার্চে রাজধানীর কাফরুলে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিরা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে এলাকাবাসীকে বিরক্ত করত। তাদের এসব কাজে বাধা দেওয়ায় আসামিরা রাতে আলমগীর হোসেনের বাসায় ইটপাটকেল ছুঁড়ে। একপর্যায়ে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় আলমগীরের বাড়িতে ডাব খেয়ে খোসা ছুঁড়ে মারে। পরে আলমগীর ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং গভীর রাতে এ রকম উৎপাত করতে নিষেধ করেন। আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বছরের ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় আলমগীরকে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও বটিসহ আক্রমণ করে। পরে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে আলমগীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে ওই বছরের ১৮ মার্চ কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।