মাদকের মামলা : সম্রাট-আরমানের মামলা জজ আদালতে
রাজধানীর ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলাটি আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠনোর নির্দেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালতে এই অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হলে বিচারক এই আদেশ দেন। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব ১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তা আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া আজ মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। সেই তারিখের কারণে সম্রাট ও আরমানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। তবে কোনো শুনানি থাকায় তাঁদের আদালতের এজলাসে উঠানো হয়নি।
জিআরও আরো বলেন, গত ১৫ অক্টোবর যুবলীগ নেতা সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সম্রাটকে নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব। রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখানে অবৈধ পিস্তল, গুলি, ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, নির্যাতন করার জন্য বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। একই সময় সম্রাটের মহাখালী ও শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
পরে কাকরাইলের নিজ কার্যালয়ে ক্যাঙারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।