দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’

দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ন রাখতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগের সচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সব ধরনের জটিলতা নির্ধারণে আমরা প্রতি তিন মাস পর পর একটি সমন্বয় বৈঠক করব। কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে, তাই মাঝেমধ্যে আমরা আমাদের পারফরম্যান্স রিভিউ করব এবং কীভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সে বিষয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করব। কর্মক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতা তৈরি হয়, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।’

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, অর্থবছরের প্রথম মাসের রাজস্ব আদায়ের হিসাব এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে তুলনামূলকভাবে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। এখন আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে, তাই রাজস্বও বাড়তে শুরু করেছে।

বৈঠকে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধিত আকারে প্রণয়নের অগ্রগতি অবহিত করেন সিনিয়র সচিব।