মাইক ভেঙে ফেলার অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীর মাইক ভেঙে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতনের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের নওহাল সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা পারভীন মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাহমিনা পারভীন বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার আগে অটোরিকশা করে আমার দুজন সমর্থক নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। নওহাল সেতু এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর কয়েকজন কর্মী রিকশাটির গতিরোধ করে। পরে তারা আমার সমর্থকদের মারধর করে নামিয়ে লিফলেট ছিঁড়ে এবং মাইক ও ব্যাটারি ভেঙে সেতুর নিচে ফেলে দেয়।’
ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরো বলেন, ‘তাৎক্ষণিক আমার সমর্থকরা জানান এ ঘটনার সঙ্গে কলেজ রোড এলাকার রাজ, রনি, রিমন, অনিকসহ আরো অনেকেই জড়িত। বিষয়টি আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ নির্বাচন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। নির্বাচনে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন নানাভাবে আমার প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের মারধর, হামলা, ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’