মহিলা আ.লীগ নেত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওয়ার্ড সম্পাদকের বিরুদ্ধে
ঝালকাঠিতে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করতে না পেরে বোম্বাই মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযুক্ত নেতার নাম নূরে আলম। তিনি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই নারী নেত্রীকে মারধর ও তাঁর বসতঘর ভাঙচুর করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও নূরে আলমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাঁর পক্ষ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী নেত্রী।
লিখিত অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিউটি বেগম দাবি করেন, একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এমনকি তাঁকে স্থানীয় গরিব ও অসহায় নারীদের তাঁর কাছে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয় প্রতিবেশী আওয়ামী লীগনেতা নূরে আলমের সঙ্গে। গত ১৯ মে বোম্বাই মরিচ মেশানো পানি তাঁর শরীরে ঢেলে দেয় নূরে আলম ও তাঁর সহযোগীরা। ওই নারী নেত্রীকে মারধর ও তাঁর বসতঘরও ভাঙচুর করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত কুমার পাল ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে নূরে আলমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নির্যাতিত ওই নারী। বিষয়টি গাভারামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাছুম শেরওয়ানীর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তিনি উল্টো নূরে আলমের পক্ষ নিয়ে ওই নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিউটি বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম খান ও সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম জানান, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিউটি বেগম তাঁর সম্মানহানি করছেন।