মহিবুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, যুবলীগ নেতা সুজন রিমান্ডে
কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রির ঘটনার মূলহোতা মহিবুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার সকালে পুলিশ তাঁকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে গেলে ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত জালিয়াতি চক্রের অপর আসামি শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার বিকেলে আদালতে আশরাফুজ্জামান সুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, অভিযুক্ত মহিবুল ইসলামকে আজ সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে গেলে ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে মহিবুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এই জালিয়াতি চক্রের বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ, কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমিটি রেজিস্ট্রি করে নেয়। ঘটনাটি একটি বেসরকারি টিভিতে গবেষণামূলক প্রতিবেদন আকারে প্রচারিত হলে কুষ্টিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত মিন্টো খন্দকার, তাঁর দুই বোন হোসনেয়ারা খাতুন ও ছানোয়ারা খাতুনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি জমির ক্রেতা মহিবুল ইসলাম ও মিলন হোসেন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ছাড়া আটক হওয়া শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।