মসজিদে বিস্ফোরণে কারো গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে : ডিআইজি
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও মসজিদ কমিটির কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জে ১৬০টি সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন এবং সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশে প্রথম মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পাইলট প্রকল্পের জমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিআইজি।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দায়দায়িত্ব নিরূপণের জন্য সরকারের পক্ষে প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে থানায় মামলা হয়েছে এবং সেভাবেই তদন্ত কার্যক্রম চলছে। শোনা যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরে মসজিদের পাইপ থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল।’
মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পাইলট প্রকল্পের জমি পরিদর্শনকালে ডিআইজি বলেন, ‘পরিবার তথা সমাজের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই মাদকের ভয়াবহতা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। মাদকের ছোবল ক্রমশ ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এই ভয়াবহতা শুধু পুলিশের একার পক্ষে থামানো সম্ভব নয়। মাদক নির্মূলে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে মাদকসেবীদের পুনর্বাসন করার জন্য সারা দেশে জেলা পর্যায়ে একটি করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইনুদ্দিনসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।
পরে ডিআইজি জেলা পুলিশ লাইন্স গেটে টেরাকোটার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, মানিকগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসি রকিবুজ্জামান ও ভাঁড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের প্রচেষ্টায় ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রর নামে দানপত্র গ্রহণ করেন।
বিল চরপাকশিয়া গ্রামের জলিল শিকদারের স্ত্রী মোছা. দেলোয়ারা বেগম ৬৫ শতাংশ এবং মোহাম্মদ ফজলুল হক ও আবুল খায়ের দুই ভাই মিলে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ মোট ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন।
এদিকে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি পক্ষ থেকে জমিদাতাসহ তাদের পরিবারকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।