মনিরামপুরের সাবেক ওসিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
যশোরের মনিরামপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদকে দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছয়রুদ্দিনের অব্যাহতির আদেশ বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম ফারহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
গত বছরের ৩ জুলাই যশোর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) ছয়রুদ্দিন আহমেদকে চার্জ শুনানির সময় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা করে দুদক।
ঘটনার বিবরণীতে উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর মৌজায় জনৈক প্রভাষ চন্দ্র ঘোষ ধান চাষ করেন। সেই জমিতে বিরোধ দেখা দিলে মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদের হুকুমে প্রভাষ চন্দ্র ঘোষের পাঁচ একর জমির মধ্য থেকে পাঁচ বিঘা জমির ৬১ মণ ৫০০ কেজি ধান কেটে নিয়ে নেহালপুর বাজারে হাটচান্দিতে মাড়াই করে গুদামে ভাড়া করে রাখেন।
পরে ওই ধান আদালতের কোনো অনুমতি না নিয়ে কোনো নিলাম না ডেকে নিজের ইচ্ছামতো ৪১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। প্রভাষ চন্দ্রের অভিযোগ ওই ধান ও পরে টাকা ফেরত চাইলে ছয়রুদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরে ছয়রুদ্দিন প্রভাষকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
এ ঘটনায় প্রভাষ চন্দ্র ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন।