মঙ্গলবার থেকে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের গণটিকার কার্যক্রম আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে টিকা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য টিকা স্বল্পতার কারণে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময়ে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া জন্যই আবার গণটিকার আয়োজনে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শামসুল হক বলেন, গত ৭ থেকে ১২ আগস্ট যে ক্যাম্পেইন হয়েছিল, সেই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। একইভাবে, একই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যারা ক্যাম্পেইনের সময় যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টা সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব। আগেরবার আনা ভ্যাকসিন কার্ড এবারও সঙ্গে আনতে হবে। ক্যাম্পেইনের জন্য যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আমাদের প্রয়োজন সেটা আমরা জেলা-উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকাদান চলবে।’
‘অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়ের এসএমএস লাগবে না’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আমরা একটি ব্যবস্থা করতে পেরেছি, এসএমএস না পেলেও তারা নিবন্ধিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, যাতে উল্লেখ থাকবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা‑ সেটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। স্তন্যদানকারী নারীরাও এসএমএস ছাড়াই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন করে যেন টিকা নিতে পারেন সে চেষ্টা আমরা করছি। নতুন একটি উইন্ডো হবে যেখান থেকে প্রতিবন্ধীরা টিকা নিতে পারবেন। তবে সব ক্ষেত্রেই এখন পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এবং জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা যেন জন্মসনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি। তবে সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে।