ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত শিশুদের মুক্তির তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী কতজন শিশু এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে এবং তাদেরকে কার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এর পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের কতজন জামিনে মুক্তি পেয়েছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে আদেশে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজকের শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
পরে ওইদিন হাইকোর্ট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ডিত ওই দুই কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের নিচের শিশুদের অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। এ ছাড়া বাকিদের ছয় মাসের জামিন দেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে জামিননামা দেওয়ার পর মুক্তি পাবে।
একইসঙ্গে তাদের দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে গাজীপুরের টঙ্গী ও যশোরের পুলেরহাটের কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। টঙ্গী ও যশোর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের বেশি বয়সী থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।