ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ, সাংসদ হলেন শফিউল
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
নৌকা মার্কার প্রার্থী ১৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট। নির্বাচনে মাত্র ৫ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিন।
সাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের মোট ১১৭ ভোটকেন্দ্রের সব ফলাফল পাওয়া গেছে। ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা মার্কায় ১৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ধানের শীষ মার্কায় পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট। নির্বাচনে মাত্র ৫ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পড়েছে।’
বাকি প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পাটির (জাপা) হাজি মো. শাহজাহান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৯৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান (ডাব) পেয়েছেন ১৮ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (হারিকেন) পেয়েছেন ১৫ ভোট ও পিডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী আব্দুর রহিম (বাঘ) পেয়েছেন ৬৩ ভোট।
আজ শনিবার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘ভোটররা ভোট দিতে যাবে কি না, সেটা ভোটারদের বিষয়। তাদের বাধ্য করা যাবে না। সেটা কোনো আইনে এবং সংবিধানে নাই। আমাদের এখানে কোথাও লেখা নাই যে এত পার্সেন্ট ভোট না পড়লে সেটা অংশগ্রহণমূলক হবে না। অতএব একটি ভোটও যদি হয় তাহলে আমরা বলব এটি অংশগ্রহণমূলক।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এই সংসদীয় আসন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭ আর ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। কেন্দ্রপ্রতি অন্তত ১৮ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১১৭, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৭৬ জন, পোলিং অফিসার ১৫৫২ জন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হতে ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ১ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হন।