ভোটের তারিখ পেছানোর পর যা বললেন তাপস
সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা সিটির ভোট নির্বাচন কমিশন দুদিন পিছিয়ে দেওয়ার পর নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে নৌকা মার্কার এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি শুনেছি, ঢাকার সিটির ভোট ৩০ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটা পিছিয়েছে। কিন্তু এই এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যাপার থাকে আর এই পরীক্ষা আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মায়েদের কাছে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন না পিছিয়ে যদি এগিয়ে নিয়ে আসা যেত তাহলে মনে হয় আরো ভাল হতো।’
এটা একেবারেই নিজের ব্যক্তিগত মতামত উল্লেখ করে তাপস আরো বলেন, ‘কারণ, এতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটা বিবেচনায় নেওয়ার দরকার ছিল বলে আমি মনে করি।’
বৃহত্তর ফরিদপুরবাসীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তাপস এসব কথা বলেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন তাঁর নির্বাচনের গণমাধ্যম সমন্বয়ক তারেক শিকদার।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের জন্য ইসি যে তফসিল ঘোষণা করেছিল, সেখানে ভোটগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন নির্ধারিত ছিল। ওই তারিখকে কেন্দ্র করে প্রচার শুরু করেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
কিন্তু ভোটগ্রহণের এই সময়টাতেই রয়েছে সরস্বতী পূজার তিথি। ফলে পূজার মধ্যে ভোটগ্রহণ না করার জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে প্রবলভাবে দাবি উঠে। এমনকি প্রার্থীরাও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নানা যুক্তি তুলে ধরে এবং সময়ের দিক বিবেচনায় নিয়ে ৩০ জানুয়ারি ভোটের দাবিতেই অনড় ছিলেন।
এর মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ পেছানোর জন্য রিট করেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ‘২৯ ও ৩০ জানুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে। কিন্তু ঢাকায় সিটি নির্বাচন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ জন্য সিটি নির্বাচন পেছানোর জন্য রিটটি করা হয়েছে।’
তবে গত ১৪ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। এরপর রিটকারী আপিল বিভাগে যান। সেখানে এখনো শুনানি হয়নি। কিন্তু তার আগে আজ সন্ধ্যায় আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ দুদিন পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।