ভৈরব-কিশোরগঞ্জ বাইপাস রেলপথ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে গণজমায়েত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনকে পাশ কাটিয়ে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ বাইপাস রেলপথ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ২০০৯ সালে সরকারিভাবে প্রস্তাবিত দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে ভৈরবকে ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্রবেশপথে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হন।
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই গণজমায়েতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা মো. সুলায়মান, চেম্বার সভাপতি আলহাজ মো. হুমায়ূন কবির, সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন কাজল, এম এ লতিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অরুণ আল আজাদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি ইমন, ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমান লিমনসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা।
জনসভায় ঘোষণা দেওয়া হয়, আজ শনিবার বাইপাস রেলপথ নির্মাণের লে-আউট পরিদর্শনে আসা রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের কর্মসূচি বাতিল না করা হলে প্রতিহত করা হবে এবং ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনকে পাশ কাটিয়ে ভৈরবের ওপর নিয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার বাইপাস রেলপথ নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ভৈরববাসী জীবন দিয়ে হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা দেবে।
এ ছাড়া এ সময় বক্তারা ২০০৯ সালে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ঘোষিত এবং সরকারের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে প্রস্তাবনা গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এ দুই দাবির সপক্ষে অচিরেই ভৈরববাসী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলারও ঘোষণা দেওয়া হয় ওই গণজমায়েত থেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, জিল্লুর রহমান ভৈরবকে জেলা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটি দেখে যেতে পারেননি। তাঁর ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য নাজমুল হাসান পাপনের মাধ্যমেই ভৈরব জেলা হিসেবে উন্নীত হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করে রুখতে পারবে না।
এ সময় তাঁরা হুঁশিয়ারি করে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ৮০ শতাংশ রাজস্ব আয় হয় ভৈরব উপজেলা থেকে। সেই রাজস্বে উন্নয়ন হয় পুরো জেলার। সে ভৈরবের উন্নয়নে বাধা তৈরি করলে ভৈরবকে পাশ কাটিয়ে খণ্ডিত উন্নয়নের স্বপ্ন দেখলে সেটি রুখে দিতে সব সময় প্রস্তুত ভৈরববাসী।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী আতঙ্ক কেটে গেলে জেলা বাস্তবায়নে ভৈরববাসী আন্দোলনে নামবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দাবি আদায়ে প্রয়োজনে ভৈরববাসী সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে রাখবে। নিজেদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে হলেও এই আন্দোলন ভৈরববাসীর ন্যায্য এবং জিল্লুর রহমানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পবিত্র দায়িত্ব বলে জানান তারা।