ভৈরবে মৃত মাছ ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মৃত মাছ ব্যবসায়ী অমিয় দাস (৬০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগের দিন সংগ্রহ করা তাঁর নমুনার প্রতিবেদনের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ। তিনি আজ বুধবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অমিয় দাস মারা যান। ওই রাতেই তাঁর মরদেহ কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব এনে আইইডিসিআরের বিধান মেনে স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়।
ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়তের মেঘনা ট্রেডার্সের মালিক এবং স্থানীয় বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক প্রতিনিধি, শহরের চণ্ডীবের দক্ষিণপাড়া এলাকার স্বর্গীয় সুচনী দাসের ছেলে ছিলেন অমিয় চন্দ্র দাস। তিনি এলাকায় একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ভৈরব উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, অমিয় দাস মারা যাওয়ার চার-পাঁচ দিন আগে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন। গত বুধবার রাতে তিনি নিজেই বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি ভৈরব ট্রমা সেন্টারের করোনাভাইরাস সেন্টারে নমুনা সংগ্রহ করান। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে দ্রুত কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ওইখানকার চিকিৎসক তাঁকে জানান, রোগীর পরিস্থিতি জটিল। ঢাকা পাঠানোর উদ্যোগ নিলেও তিনি রাস্তায় মারা যেতে পারেন।
এ অবস্থায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে সেখানেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।