ভৈরবে প্রবাল হত্যা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একেএম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া প্রবাল (১৭) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজন (২৬) ও তৌহিদকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার রাতে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের দুর্জয় মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া রাজন ও তৌহিদ দুজনেই শহরের কমলপুর এলাকার বাসিন্দা। আজ শনিবার সকালে তাদের ভৈরব থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
রাফিউদ্দীন জানান, গত মঙ্গলবার রাতে প্রবালের লাশ উদ্ধারের পর থেকে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। বৃহস্পতিবার নিহতের বাবা মো. হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয় র্যাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ ও ছয় নম্বর আসামি রাজন ও তৌহিদকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমূলের মালিকানাধীন সরদার হোটেলের পেছনে শাকিল মোটরসের ভেতর থেকে প্রবালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের আগে কাউন্সিলর শিমূলের চাচা জিল্লুর রহমানের ছেলে অন্তরসহ তার কয়েক সহযোগীকে রক্তাক্ত পোশাকে ওই এলাকা দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার দুইদিন পর নিহত প্রবালের বাবা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে অন্তর, তার দুই ভাই নয়ন ও অনীক, তাদের বাবা জিল্লুর রহমান, অন্তরের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী রাজন ও তৌহিদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হওয়ায় প্রবালের বড় ভাই ডা. এমদাদ প্রিন্স ভূঁইয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ডা. এমদাদ প্রিন্স জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রবাল হত্যায় প্রকৃত জড়িতদের নাম বের হয়ে আসবে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও তৎপরতাসহ হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।