ভৈরবে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে ৬১, মুক্ত ৫৭ জন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন প্রবাসীকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ দিন সফলতার সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে মুক্ত জীবনে ফিরে গেছে ৫৭ জন। এদের মধ্যে ৫৫ জন নিজ নিজ বাড়িতে এবং দুজন প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল।
কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ না থাকায় তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের অনুমতি দিয়েছে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি।
বর্তমানে ভৈরবে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৮০ জন। এদের মধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে আছে ৭৭ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছে তিনজন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকাদের রাখা হয়েছে শহরের কমলপুর এলাকার ট্রমা হাসপাতালে।
আজ রোববার সকালে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভৈরব উপজেলা করোনাভাইরাস আক্রান্তমুক্ত রয়েছে। আর এমন অবস্থা রাখতে হলে সামাজিক দূরত্ব তৈরির সরকারি সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।’
এদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব তৈরির চতুর্থ দিনে ভৈরবের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এবং নদীবন্দর এলাকা জনমানবশূন্য। শহরের ওষুধের দোকান ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সব বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না।
অন্যদিকে, ভৈরব পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন রাস্তাঘাটে জীবাণুমুক্ত করতে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানো হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে বসানো হয়েছে হাতধোয়ার বেসিন। সেখানে রাখা হয়েছে সাবানসহ অন্যান্য সামগ্রী।