ভৈরবে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীর হামলায় দুজন আহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নূরু মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হামলায় আবুল হাসেম নামের এক হকার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঘটনা দুটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৬টা ও বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভৈরব শহরের গাছতলাঘাট এবং ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শনিবার সকাল ৬টার দিকে সিলেট থেকে ব্যবসায়ী কাজ শেষে শহরের চন্ডিবের এলাকার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন নূরুল ইসলাম ওরফে নূরু মিয়া। তিনি শহরের গাছতলাঘাটের সেতু এলাকা অতিক্রম করে স’মিলের কাছে এলে তাঁকে কয়েকজন যুবক ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা সঙ্গে থাকা ৯ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে নূরু মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। নূরু মিয়ার গ্রামের বাড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাশঁগাড়ী গ্রামে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন জানান, যদিও তারা এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি, তারপরও লোকমুখে জানার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
অপরদিকে একইদিন বিকেলে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় আবুল হাসেম নামের এক হকারকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেছে জীবন নামের এক সন্ত্রাসী। আহত হাসেমের বাড়ি শহরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। আর জীবন পুলিশের সোর্স বলে পরিচিত। তিনি স্টেশন সংলগ্ন আমলাপাড়া এলাকার ফারুকের ছেলে।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হাসেমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ আহত আবুল হাসেমকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে রাতেই সন্ত্রাসী জীবনকে গ্রেপ্তার করে।