ভৈরবে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চৈতি বেগম (১৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে শহরের রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন বউবাজার এলাকার হালিমা বেগমের বাড়ি থেকে লাশটি করে পুলিশ।
চৈতি হালিমা বেগমের ভাড়াটিয়া হেলাল মিয়ার মেয়ে ও সাগর মিয়ার (২০) স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্বামী সাগর মিয়াকে আটক করেছে।
চৈতির বাবা হেলাল মিয়া জানান, পেশায় অটোরিকশাচালক সাগরের সঙ্গে আট-নয় মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাঁর মেয়ের। তারা একই বাড়ির পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর থেকেই সাগর ও চৈতির দাম্পত্য জীবনে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। বিভিন্ন অজুহাতে সাগর চৈতিকে মারধর করত। গতকাল রাতেও মারধরের ঘটনা ঘটে।
আজ সকালে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে চৈতির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান হেলাল মিয়া। তাঁর দাবি, মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সাগর চৈতিকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি মেয়ে হত্যার অভিযোগে সাগরের বিচার দাবি করেন।
এদিকে পুলিশের হাতে আটক সাগর স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে চৈতির সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হলে তিনি তাঁকে মারধর করেছিলেন। কিন্তু হত্যা করেননি। রাগে চৈতি আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ দীপু জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যার ঘটনা।