ভৈরবে গৃহবধূর আত্মহত্যা, প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চাঁদনী বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃত্যুর জন্য জনি নামের এক কথিত প্রেমিক দায়ী বলে অভিযোগ করছে স্বজনরা।
নিহত চাঁদনী বেগম শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত আলী আকবরের মেয়ে। তিনি বিবাহিত এবং তিন বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। চাঁদনীর স্বামী মুস্তাকিন একটি সংঘর্ষের ঘটনায় এক বছরের সাজায় জেলে আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার গত তিন মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে জনি ও চাঁদনী বেগম ভাড়া বাসায় ওঠেন। এখানে আসার পর জনি প্রায়ই চাঁদনীকে মারধর করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চাঁদনীর ঘর থেকে কান্না ও হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান তারা। আজ সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে চাঁদনীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদনীর কথিত প্রেমিক জনি রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। জনি এলাকার কুখ্যাত ছিনতাইকারী বলেও জানান তারা।
ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান রাসেল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। চাঁদনী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কারো নির্যাতন বা অত্যাচারে তিনি যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে স্বজনরা আইনি সহায়তা চাইলে পুলিশ দেবে।’
এ প্রসঙ্গে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।