ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আসন্ন ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন প্রকারের সেমাই তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা ওইসব কারখানায় নিজস্ব ব্র্যান্ড ছাড়াও দেশের নামি দামি কোম্পানির নামকরা সেমাই তৈরি করে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে কারখানাগুলি।
এতে করে ভোক্তারা একদিকে ভালো কোম্পানির নামে ভেজাল ও নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে। অন্যদিকে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি সেমাই কিনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানায়, ভৈরব পৌর শহরের রানীর বাজার, বাগানবাড়ী, ঘোড়াকান্দা, কমলপুর, তাঁতারকান্দি, জগন্নাথপুর, লক্ষ্মীপুর, শম্ভুপুর, শিবপুর, চন্ডিবেড়সহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক সেমাই কারখানা। এসব কারখানায় নিম্নমানের ময়দা-ডালডা ও বিষাক্ত রঙ দিয়ে অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শত শত টন সেমাই।
উৎপাদিত এসব সেমাই রাতের অন্ধকারে সরবরাহ করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জেলা, উপজেলাসহ হাওর অঞ্চলগুলোতে। সেসব অঞ্চলের একশ্রেণির অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ী এসব কারখানার মালিকদের সঙ্গে যোগসাজস করে বিক্রি করছে উৎপাদিত এসব সেমাই।
এলাকাবাসী অভিযোগ, কারখানাগুলিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করলেও শাস্তিমূলক স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফের উৎপাদন করছে কারখানাগুলো। ফলে অবস্থা একই অবস্থানে ঘুরপাক খেতে থাকে। প্রতিকারের কিছুই হয় না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা বলেন, ‘র্যাব-পুলিশের সহযোগিতায় আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই ওইসব কারখানায়। বিধি মোতাবেক শাস্তিও দেই। কিন্তু মুনাফালোভী মালিকরা আবারও তাদের পুরনো কর্মে ফিরে যায়। তারপরও জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের অভিযান ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’