ভোলায় নিষিদ্ধ এলাকায় ইলিশ ধরায় ২২ জেলেকে সাজা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর নিষিদ্ধ এলাকায় ইলিশ ধরার অপরাধে পৃথক অভিযানে ২৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ২৯ জনের মধ্যে ২২ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ সময় ইলিশসহ অন্তত ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এসব জেলেকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদোয়ানুল ইসলাম, সালেহ আহমেদ ও মো. আবু আবদুল্লাহ খান এ অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু আবদুল্লাহ খান এসব জেলেকে সাজা দেন।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা এ অভিযান চালান। এ সময় মাছ ধরা অবস্থায় মেঘনা নদী থেকে ১৭ জন এবং তেঁতুলিয়া নদী থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের পর ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক সাতজনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২২ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর জেলেদের মেঘনা নদী থেকে নিয়ে আসার সময় তাদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ছোট শিশু আর নারীদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
সকিনা নামের এক শিশু তার মামাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বলে, ‘আমার মামাকে ছেড়ে দিন, না হলে আমরা কী খাব?’
একই কথা বলেন, নৌকায় বসবাসরত এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। কী খাব আমরা? নদীতে মাছ ধরলে চুলায় আগুন জ্বলে, মাছ না পেলে না খেয়ে থাকতে হয়। সরকার আমাদের কিছু দেয় না। কী করে চলব?’
এক জেলের স্ত্রী সালমা বলেন, ‘আমরা নদীতে মাছ না ধরলে খেতে পারি না। সরকার যে চাউল জেলেগো দেয়, তা পাই না। চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই খায়। যারা জেলে না, তাদের চাউল দিচ্ছে। সরকার হেইডা দেখে না, উলটা আমাগো স্বামী-সন্তান ধরে নিয়ে জেলে ভরে। এইডা কেমন আইন?’