‘ভোট বানচালের জন্য বিএনপি পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে’
নির্বাচন বানচালের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ বিএনপির ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকাল আমাদের কর্মীদের ওপর পূর্বপরিকল্পিততভাবে হামলা করা হয়েছে। সেই তথ্য প্রমাণ নিয়ে আমরা আজ এসেছিলাম। এর আগে বিএনপির শক্তিশালী প্রতিনিধিদল এসেছিলেন, তাঁরা অনেক অভিযোগ করেছেন। আসলে চোরের মায়ের বড় গলা। কারণ গতকালেরর হামলা সাজানো ও পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপির ক্যাডাররা এমনভাবে এটি করেছে যে তারা আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিলেন।’
এইচ টি ইমাম আরো বলেন, ’১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের সময় যারা জেলে ছিলেন, তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে তারা ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এমন কিছু করতে পারে যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। কমিশনকে আমরা এসব তথ্য দিয়েছি। গতকাল আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন, আমাদের কর্মীদের যাদের গুলি লেগেছে তাঁরা হাসপাতালে আছেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় বড় ভূমিকা রাখছেন জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরকেই আনা হচ্ছে। গতকাল যে আক্রমণ করা হয়েছে, যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, গুলি পরিচালনা করা হয়েছে। সেগুলো তথ্য কমিশনকে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছে, হাসপাতপালে রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী নিজেই অন্যদের ওপর হাত তুলতে যাচ্ছেন মারতে যাচ্ছেন, আক্রমণমুখী; এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন তাঁর বাবার মতো নাটক করে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘তাঁর পিতা মরহুম সাদেক হোসেন খোকা কীভাবে নিজের মাথায় পট্টি বেঁধে ও গরুর রক্ত গায়ে মেখে এমনভাবে সেজে এসে ইউনাইটে হাসতপালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ধরনের নাটক করার তাদের অভ্যাস রয়েছে। এ ধরনের নাটক আজকেও করে থাকতে পারেন।’
এইচ টি ইমাম আরো বলেন, ‘আমরা চাইব নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। আমরা কী চাইব মারামারি করে নির্বাচন নষ্ট হোক? আমাদের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না হয় সেটাই দেখছি আমরা।’
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমরাই আচরণবিধি মেনে চলছি। এমপি-মন্ত্রীরা প্রচারে যাচ্ছেন না। ...রিটার্নিং অফিসার দেখভাল করছেন। আগামীকাল থেকে নির্বাহী হাকিম বাড়বে। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে ব্যবস্থা নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। ঢাকাবাসীর জীবনমান রক্ষার জন্য, তাদের নিরাপত্তার জন্য এ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার জন্য, সবার অংশগ্রহণমূলক করার পরিবেশ তৈরির অনুরোধ জানিয়েছি।’
‘১৯৯৪ সালে ঢাকার মেয়র মো. হানিফ নির্বাচিত হওয়ার পর সাতজন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এটা তাদের পুরোনো চরিত্র। সন্ত্রাসের চরিত্র, অগ্নিসন্ত্রাস, ভোট কারচুপি, বানচালের চরিত্র’, যোগ করেন নানক।