ভুল আসামিকে জেল খাটানো : রিটের শুনানি হবে ৮ জুলাই
খুলনায় একটি চোরাচালান মামলায় শুধু নামের মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামির পরিবর্তে নিরীহ একজনকে জেল খাটানোর ঘটনায় রিটের শুনানির জন্য আগামী বুধবার নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গতকাল ৫ জুলাই খুলনায় একটি চোরাচালান মামলায় শুধু নামের মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামির পরিবর্তে নিরীহ এক ব্যক্তিকে জেল খাটানোর ঘটনায় রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নিরীহ ব্যক্তি মো. সালাম ঢালীকে মুক্তি ও তাঁকে জেল খাটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৩ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু নামে আংশিক মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির পরিবর্তে নিরীহ এক ব্যক্তিকে চোরাচালান মামলায় জেল খাটতে হচ্ছে। সিদ্ধহস্তে মুনশিয়ানার সঙ্গে এ অন্যায় ঘটনা ঘটিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)।
অভিযোগ রয়েছে, আসামির নাম, পিতার নামের ও ঠিকানার একাংশের মিল থাকায় মো. সালাম ঢালী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামির নাম মো. আবদুস সালাম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ রাত ১২টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মণ্ডল খুলনা সদর থানা এলাকার ৬০/১৮ শের-এ-বাংলা রোডের বাসিন্দা মো. সালাম ঢালীকে গ্রেপ্তার করেন। মো. সালাম ঢালীর পিতার নাম মফিজ উদ্দিন ঢালী। সালাম ঢালী এখন কারাগারে রয়েছেন। চার মাস ধরে নিরাপরাধ মুদি দোকানি এই সালাম ঢালী বাগেরহাটের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
অন্যদিকে, প্রকৃত অপরাধী মো. আবদুস সালাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এখনো পলাতক। মূলত নিজের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানার একাংশের মিল থাকার সুযোগ নিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলার বিবরণে উল্লেখিত প্রকৃত আসামির নাম, পিতার নাম বা ঠিকানা কোনোটিতেই পুরোপুরি মিল নেই। এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।