ভিড়ের মধ্যে উঠে গেল প্রাইভেটকার, ১৮ জন হাসপাতালে
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় আজ রোববার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভিড়ের মধ্যে উঠে গেলে এক শিশু ও চার নারীসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন হলেন ফরিদ, রাজ্জাক, আজিম, রাজিব, রাশেদ, বক্কর, আজিজুল ইসলাম, সালমা, রহিমা, মাকসুদা, নাজমা, জাহিদা বেগম, তামান্না বেগম ও সুমাইয়া।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক জানান, বাসস্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে অন্তত ১৮ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে, তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও ছয়জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারটি জব্দ করাসহ চালককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন জাহিদা বেগম (৪৫), তামান্না বেগম (৩০) ও তাঁর মেয়ে সুমাইয়া (১০)।
আহত তামান্না বেগম জানান, তাঁদের বাসা খিলক্ষেত এলাকায়। আজ তাঁর শাশুড়ি তুলা বেগমকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর বাসায় ফেরার জন্য হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। এ সময় তামান্নার সঙ্গে তাঁর স্বামী শেখ ফরিদ, ছেলে আবদুল্লাহ (২) ও মেয়ে সুমাইয়া ছিলেন। এ সময় আরো অনেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে একটি প্রাইভেটকার তাঁদের ওপর উঠে যায়।
আহত জাহিদা বেগম জানান, তাঁদের বাসা বাড্ডা এলাকায়। নিজের চিকিৎসার জন্য ছেলে আবদুল আজিমের (১১) সঙ্গে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে জাহিদা বেগমের অবস্থা গুরুতর। তাঁর পা ভেঙে গেছে। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তবে সুমাইয়ার পা ভাঙা রয়েছে।