ভিপি নুরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৫ জানুয়ারি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রীকে ‘কটূক্তি’ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন এই দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঢাবির সেই ছাত্রী। সেই দিন বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী এজাহারে বলেন, ‘অত্র মামলার বাদী সহজ-সরল, পর্দানশীল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজের মেধাবী ছাত্রী। অপরদিকে আসামি (ভিপি নুর) প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মনগড়া, আইন বহির্ভূত, সরকারি এবং রাষ্ট্রবিরোধী অসত্য, অর্থহীন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য কোনো কারণ ছাড়াই নিজেকে ভাইরাল করার জন্য প্রায়ই প্রকাশ করে থাকেন।’
বাদী আরো বলেন, আসামি তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও প্রকাশ করে বাদিনীকে ‘দুশ্চরিত্রহীন’ বলে প্রকাশ করে। যা একটি মেয়ের জন্য খুবই অপমানজনক শব্দ। যেহেতু আসামি উল্লেখিত ভিডিওতে বলেন যে, 'ছি! আমরা ধিক্কার জানাই এত নাটক যে করছে সে দুশ্চরিত্রহীন, ধর্ষণের নাটক করেছে স্বেচ্ছায় একটি ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে।’
‘যা বাদিনীর জন্য অপমানজনক, মানহানিকর এবং আক্রমণাক্তক মিথ্যা তথ্য বটে। যেহেতু আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদ নামীয় একটি সংগঠনের নেতা, তার এহেন উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো আক্রমণাক্তক, বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত ও সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে প্রকাশ ও প্রকাশ করে সমাজে বাদিনী ও বাদিনীর পরিবারকে প্রতিবেশীদের সাথে বা সমাজের সাথে শত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় এবং বাদিনীর সুনাম নষ্ট করে ও মানহানি করে।’
এটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)/ ক, ২৯(১), ৩১(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ঢাবির ছাত্রী।