ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মালামাল গায়েব : সেই মেসওয়ালা কারাগারে
৫০ শিক্ষার্থী তিন মাসের ভাড়া না দেওয়ায় তাঁদের শিক্ষা সনদ ও মালামাল গায়েবের মামলায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ‘আলিফ’ নামের একটি ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শরীফ সাফায়েত বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি খোরশেদ আলমকে একদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৩ জুলাই আসামি খোরশেদকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।
নথি থেকে জানা যায়,করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে সব শিক্ষার্থী তাঁদের কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। তারা কিছুদিন আগে জানতে পারেন,ছাত্রাবাস মালিক খোরশেদ আলম গত তিন মাসের বাসা ভাড়া না পেয়ে তাঁদের কক্ষ ভেঙে চেয়ার-টেবিল,বই-খাতা,আসবাবপত্রসহ মালামাল সরিয়ে ফেলেন।
পরে গত বুধবার সকালে ৫০ শিক্ষার্থীর সবাই ঢাকায় আসেন। তাঁরা খোরশেদ আলমকে ফোন করলে তিনি এসে বলেন, বকেয়া টাকা দিলে মালামাল দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের চাপে গত বুধবার রাতে যেখানে মালামাল রাখা হয়েছে সেখানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দেখতে পান,তাঁদের প্রত্যেকের স্যুটকেসের তালা ভাঙা। লেপ-তোশক ছাড়া কোনো মালপত্রই নেই। পরে রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলাবাগান থানায় যান। পরে ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দেন। মামলার পরে ২ জুলাই রাতে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।