বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী (৯৭) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

‘প্রোস্টেট’ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হসপিটালে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪৭ মিনিটে মারা যান স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কুমিল্লা জেলার প্রথম প্রশাসক। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

আহমেদ আলীর ছোট মেয়ে আইরীন আহমেদ জানান, তাঁর বাবার প্রথম  জানাজা আজ শনিবার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। বাদ আসর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কুমিল্লায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পাঁচ মেয়ে ও চার ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

৯৭ বছর বয়সী এ নেতা ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ আসনের (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এমএলএ নির্বাচিত হন। যেটা ১৯৭১ সালে এমসিএতে রূপান্তরিত হয়।

তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক সদস্য ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ১৯৫৩ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।