ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে ১৩০ টন বিস্ফোরক আমদানি, নিরাপত্তা জোরদার
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৩০ টন বিস্ফোরক আমদানি হয়েছে আজ সোমবার। দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান আটটি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক আমদানি করে। আমদানি করা বিস্ফোরকের মূল্য দেড় কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ সোমবার বিকেলে বিস্ফোরকের চালানটি দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা জানা গেছে। গতকাল রাতে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এ বিস্ফোরক দ্রব্যের চালানটি বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। বিস্ফোরক দ্রবের চালানের কাগজপত্র বন্দর ও কাস্টমসে দাখিল করেছে এএস ইন্টারন্যাশনাল নামের এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এএস ইন্টারন্যাশনাল নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্ট বিস্ফোরকের চালান খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করেছে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বন্দর সূত্র জানায়, এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৬ মার্কিন ডলার দামে ১৩০ মেট্রিক টন ওজনের বিস্ফোরক দ্রব্য দিনাজপুর মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ভারত থেকে আমদানি করেছে। যার দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ দুই হাজার ৫৮২ টাকা। এদিকে এর আগে গত ১৪ মার্চ আটটি ট্রাকে ১১১ টন ও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১০ ট্রাকে ১২০ টন বিস্ফোরক আমদানি করেছিল একই প্রতিষ্ঠান।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারতের নাগপুর থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।