ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বর্তমানে স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে। ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশি এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দু’দেশের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য সবসময় সহায়ক হয়।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারেরর ভারত সফর ছিল মূলত: ভারতে বাংলাদেশ বেতার সম্প্রচারে উদ্বোধনের জন্য। নয়াদিল্লিতে গত ১৪ তারিখ ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভেদকার এবং আমি যৌথভাবে ভারতে চার ঘণ্টা- সকালে দু’ঘণ্টা, বিকেলে দু’ঘণ্টা বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার কার্যক্রম এবং আকাশবাণীর দু’ঘণ্টা দু’ঘণ্টা করে মোট চার ঘণ্টা বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার উদ্বোধন করি। একইসঙ্গে করছি। আপনারা জানেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার কার্যক্রম সমগ্র ভারতে দূরদর্শনের ডিটিএইচ ফ্রি ডিশের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। সেই চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ এরমধ্যেই বহুদূর অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু মূল চুক্তির আলোকে এটি ‘ওয়ার্কিং এগ্রিমেন্টের’ প্রয়োজনীয়তা ছিল। বাংলাদেশের এফডিসি এবং ভারতের এনএফডিসির মধ্যে সেটিও ১৪ তারিখ স্বাক্ষর হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সৌজন্য বৈঠক হয়। সেখানে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আজকে যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তার নানা দিক আলোচনা হয়েছে। আজকে যে আমাদের সম্পর্ক স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে, এটিও আলোচনা হয়েছে।’
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একইদিন (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। ভারতে রাইসিনা ডায়ালগে মন্ত্রিপর্যায়ে বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত মন্ত্রীদের ডাকা হয়েছিল। যদিও আমি রাইসিনা ডায়ালগে যাইনি, এরপরও আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৪ সালে মোদি সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারতে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, বিশেষ করে প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়া, প্রত্যেক মানুষের জন্যে ব্যাংক একাউন্ট খোলা এবং স্যানিটেশন কাভারেজ যেটি খুব কম ছিল, সেটি ব্যাপকতর করাসহ তাঁর সরকারের আমলে যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, সেগুলো তিনি সবিস্তারে বর্ণনা করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশংসা করেন।’